এ উপমহাদেশে পিতা-পুত্রের সম্পর্ক অনেকাংশে উত্তেজনার আবর্তে বাঁধা থাকে। কিন্তু এ বিষয়টি বিশ্বের সব বাবার ক্ষেত্রে একরকম নয়। বহু বাবাই তার সন্তানকে জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বহু বিষয় শিখিয়ে থাকেন। তেমনই একজন ব্যক্তির নাম দ্বীপ মালহোত্রা। তিনি তার বাবার কাছে শিখেছেন জীবনের বহু বিষয়। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ম্যানস ওয়ার্ল্ড ইন্ডিয়া।

১. নিজে নয়, অন্যের দৃষ্টি গুরুত্বপূর্ণ
আপনি নিজের দিকে কিভাবে তাকাচ্ছেন, তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো অন্যরা আপনার দিকে কিভাবে তাকাচ্ছে। এ বিষয়টি বাবা আমাকে শিখিয়েছেন যে, নিজের দৃষ্টির চেয়ে অন্যের দৃষ্টি গুরুত্বপূর্ণ। আমার পরিবার বরাবরই উচ্চপর্যায়ের। আর এখানে সর্বদা নিজের পারিবারিক মর্যাদা রক্ষা করার গুরুত্ব রয়েছে। সে কারণেই বাবা আমাকে শিখিয়েছেন সব সময় যথাসম্ভব অন্যের দৃষ্টিতে নিজেকে গুরুত্বের সঙ্গে বিচার করতে।

২. ধৈর্য ধর, ব্যবসা সফল করতে সময়ের প্রয়োজন
বাবা সর্বদা বলতেন ব্যবসা সফল করতে অধ্যবসায়ী হতে হয়। একটি ব্যবসা স্থিতিশীল করতে কমপক্ষে এক হাজার দিন সময় লাগবে। আমার বাবার মতে ব্যবসা শুরু করা সহজ হলেও তাকে লাভজনক করা সহজ কাজ নয়। তার আগ্রহের বিষয় ছিল কাজ। তিনি কাজ করতে ভালোবাসতেন।

৩. ব্যর্থতাকে হৃদয়ে ধারণ করবে না
আমার বাবার মাঝে এ গুণটি আমি দেখেছি। তিনি কখনোই ব্যর্থতায় হতাশ হতেন না। তার বদলে যে কোনো বিষয়ে ব্যর্থ হলে তিনি পুনরায় সেটিতে সফল হওয়ার জন্য পূর্ণোদ্যমে চেষ্টা করতেন। এতে ব্যর্থতার পর সফলতা আসবেই বলে তিনি বিশ্বাস করতেন।

৪. ব্যাকআপ বিজনেস প্ল্যান রাখা ভালো
বাবা প্রায়ই এমন সব স্থানে বিনিয়োগ করতেন যে তা আমার কাছে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ মনে হতো। কিন্তু এতে আমার বাবার বিচক্ষণতা প্রকাশ পেত। তিনি বলতেন ব্যাকআপ প্ল্যান রাখতে। তিনি কঠিন পরিস্থিতিতে বিনিয়োগ করলেও সেখান থেকে কিভাবে বের হওয়া যাবে তার একটি ব্যাকআপ প্ল্যান সর্বদা প্রস্তুত রাখতেন।

৫. ইগো বিপজ্জনক বিষয়
মানুষের ইগো অত্যন্ত বিপজ্জনক বিষয়। আপনার ভালো কাজকে এটি হত্যা করতে পারে। তাই আপনার ভালো কাজকে হত্যা করার আগে আপনিই ইগোকে হত্যা করুন। বাবা কখনোই ইগোকে তার স্বাভাবিক কার্যক্রমে বাধা হতে দেননি। এমনকি তার যদি কোনো ব্যক্তির সঙ্গে দেখা নাও হয় তার পরও তাকে ফোনে কথা বলতে কখনোই দ্বীধা করতেন না। তার কাছে কাজই গুরুত্বপূর্ণ ছিল, অন্য কোনো বিষয় নয়।

Post a Comment

 
Top